একটি অভিযোগ প্রায় সব ইউজারই করে
থাকেন যে তাদের নেটে সব ওয়েবসাইট খোলে না। বিশেষ করে যারা মোবাইল সিম দিয়ে নেট
চালান তারাই বেশি ভোগেন এ সমস্যায়। অভিজ্ঞরা এটাকে তেমন সমস্যা মনে না করলেও
নতুনদের কাছে বিরাট একটি সমস্যা এটি। মূলত এটি ISP এর নিয়ন্ত্রিত একটি বিষয়। ISP= Internet Service Provider অর্থাৎ আপনি যাদের
নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইন্টারনেট চালাচ্ছেন সেই হলো আপনার ISP। সে ক্ষেত্রে আপনি Banglaink সিম ব্যবহার
করে নেট চালালে Banglalink হলো আপনার ISP। এভাবে Grameenphone, Robi, Airtel, Telekalk, Qubee, Banglalion
সহ আরো অনেক ISP প্রতিষ্ঠান
আছে।
প্রত্যেক ISP নিজের সিকিউরিটি বা Protocol ঠিক করতে গিয়ে নিজস্ব সেটিংস ব্যবহার করে
থাকে। এতে কিছু কিছু ওয়েবসাইট ঐ সব ISP থেকে খোলে না। বিশেষ করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কে blogger.com সাইট খোলতে সমস্যা
হয়। কখনো খোলে আবার কখনো খোলে না। সেটিংস পরিবর্তন করলে এটি আবার ঠিক
হয়ে যায়। আবার সরকারী নির্দেশে ISP গুলো কোন সাইট
বন্ধ করে রাখলেও ঐসব ISP এর অধীনে থাকা নেট ব্যবহারকারীরা বন্ধ
করা সাইট দেখতে পারে না। কারণ একজন ইউজারের Net Connection নিয়ন্ত্রিত হয় ISP থেকে। আমরা
একটু এর প্রতিকার দেখি নিচে।
প্রতিকারঃ
উপরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
কয়েকভাবে চেষ্টা করা যায়। নিচে আমরা কয়েকটি
পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশাকরি পদ্ধতিগুলো সবার জন্য উপকৃত হবে।
১। IP Hide সফটওয়ার ব্যবহার করে এ সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। IP Hide সফটওয়ারগুলো ব্যবহারকারীর ISP এর Network Address পরিবর্তন করে অন্য একটি Address ব্যবহার করে থাকে। এতে User দের উপর ISP এর সকল Control কাজ করে না। ফলে বন্ধকৃত ওয়েবসাইট দেখতে সমস্যা হয় না। এটি সবচেয়ে ভাল উপায়। IP Hide করার জন্য অনেক ধরণের সফটওয়ার রয়েছে। তবে বেশিরভাগই Professional।
IP Hide সফটওয়ারগুলো ইউজারের IP লুকিয়ে বিভিন্ন দেশের IP ব্যবহার করে থাকে। এতে নিজ দেশের ISP এর Control আর ইউজারের উপর থাকে না। ফলে বন্ধকৃত বা Blocked করা ওয়েবসাইট দেখা সম্ভব হয়। একটি IP দিয়ে সাধারণত ইউজারের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়। কোন দেশের কোন এলাকা থেকে ইউজার নেট চালাচ্ছেন তা বিস্তারিত বের করা সম্ভব IP দিয়ে। কিন্তু Proxy IP ব্যবহার করলে এই পরিচয় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন আপনি http://www.tracemyip.org/, http://www.ipnow.org/, http://www.hostip.info/, http://www.ip-adress.com/ লিংকে যান। দেখুন আপনার সম্পর্কে।
২।
অনলাইন Proxy Site ব্যবহারের
মাধ্যমেও কাজটি করা যায়। মূলত IP
Hide সফটওয়ার
যেভাবে ইউজারের IP লুকিয়ে
বিভিন্ন দেশের IP ব্যবহার
করে থাকে Proxy Site গুলোও
সেই কাজগুলো করে থাকে। হঠাৎ Block করা কোন
সাইট ভিজিট করার জন্য এটি খুব ভাল পদ্ধতি। এতে কোন সফটওয়ারের প্রয়োজন হয় না। শত শত
Proxy Site আছে
যারা ফ্রীতে ইউজারদেরকে এ সেবা দিয়ে থাকে। কাজটি করার জন্য কোন একটি Proxy Site খোলে
সেখানে নিজ দেশে Blocked করা
সাইট’র লিংক
কপি করে দিয়ে রান করলেই সাইটটি খোলে যায়। সমস্যা হলো এই সাইটগুলো বেশি
দিন টিকে না। AntivirusSoftware গুলো এসব সাইটকে নিরাপত্তার
জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে Blocked করে দেয়। তাই সার্চ দিয়ে
আপডেট সাইটগুলো দেখায় ভাল।
1. Hidemyass:
2. Proxify:
3. Newipnow:
4. iBypass:
5. Change IP Country:
6. KProxy:
7. PageWash:
8. Browser9:
9. Anonr:
10. Megaproxy:
৩। VPN Software ব্যবহার করেও একই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। VPN (Virtual Private Network) হলো উপরের IP Hide এর মত আরেকটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ISP এর Network Settings পরিবর্তন করে আলাদা একটি Network Settings তৈরি করা হয়। অর্থাৎ VPN হলো ISP এর মত আরেকটি ISP যা বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তবে এই সফটওয়ারগুলোও বেশিরভাগ Professional হয়ে থাকে। Virtual জিনীসটা নতুনদের বুঝতে একটু সমস্যাও হতে পারে। এটি বুঝতে হলে Virtual PC সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে। Virtual PC কোন PC নয় কিন্তু একটি আলাদা পিসিতে কাজ করার সব সুযোগ এর মাধ্যমে লাভ করা যায়।
৪। DNS Server Address পরিবর্তন করেও উপরের সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা যায়। এই কাজটি কোন সফটওয়ার ছাড়া Manually করা যায়। তবে
এটি সব ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। বিশেষ করে ISP কোন সাইট Blocked করে রাখলে এটি তেমন কাজ দেয় না। এ
জন্য প্রথমে Control Panel থেকে Network Connections যান। আপনি Network Connections Settings ব্যবহার করেন
তার সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে। যেমন GP ব্যবহার করলে GP এর Network
Connections Settings
পরিবর্তন করতে হবে। কাজটি করার আগে প্রথমেই আপনার Internet Settings Disable করুন। এবার
আপনি যে লাইন ব্যবহার করছেন সেই Connection
এর উপর Right Click করে Properties এ যান।
Networking>Internet Protocol (TCP/IP)>Properties এ ক্লিক করুন।
তাহলে নতুন আরেকটি Window খোলবে। ওখানে Use the following DNS Server Addresses চেক মার্ক দিন
এবং Number পরিবর্তন করে
দিন। যেমন 4.2.2.8, 4.2.2.5 । এরকম আরো
কয়েকটি Number চেক করে দেখতে
পারেন। একটি কাজ না করলে অন্যটি বসিয়ে দেখতে হবে। Number বসানোর পর OK>OK দিন।
নিচে কিছু Preferred DNS Server
এবং Alternate dns Server
দেয়া হলো। এগুলো বিভিন্ন ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে যা ইউজারের কমেন্টস করেছেন।
8.8.8.8, 8.8.4.4
অথবা
4.2.2.5, 8.8.8.8
অথবা
4.2.2.8, 4.2.2.2
অথবা
202.27.184.3, 202.27.184.5
অথবা
4.2.2.2, 8.8.8.8
এবার Network Connection Enable করুন। Enable/Disable করার জন্য Connection এর উপর Right Click করলে Enable/Disable পাওয়া যাবে। অথবা Net Connection বন্ধ করলেও Disable হতে পারে। Enable/Disable সাধারণত Adapter এর চিহ্ন দেখেই বুঝা যায়। যতবার Number পরিবর্তন করবেন ততবার Enable/Disable এর কাজটি করতে হবে। সবশেষে আপনার ওয়েবসাইটটি খোলে দেখুন। আশাকরি সমাধান পাবেন।
0 comments:
Post a Comment