শেয়ার ক্যাশে যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের জন্য এই লেখা; অবশ্য সবাই-ই পড়তে পারেন…
আবার বেশ কয়েক জন আমাকে পার্সোনালি নক করে জানিয়েছেন তারা একেবারেই পারছেন না। ব্যাপারটা ক্লিয়ার বুঝতে পারছেন না এবং ফাইল আপলোড করা বেশ ঝামেলা। বাংলাদেশের নেট স্পীড পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ঝামেলা হয় ফাইল আপলোড করতে গেলে।আপনারা যারা শুরু করতে পারছেন না, তাদের জন্যই আজকের এই টিউটোরিয়াল। আমি আজকে শেয়ার ক্যাশ-এর দু’টো সিক্রেট ট্রিকস জানাবো আপনাদের। আশা করি এগুলো কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন এখন। কারণ এরচেয়ে আর কোনো সহজ ওয়ে আছে বলে আমার জানা নেই।
শেয়ার ক্যাশের সিক্রেট দু’টি ট্রিকস হচ্ছে-
১. কোনো ফাইল আপলোড না করে কীভাবে ইনকাম করবেন? এবং২. ফেসবুক কাজে লাগিয়ে কীভাবে ইনকাম করবেন?
তো চলুন জেনে নেয়া যাক এই দু’টো হিডেন ট্রিকস। প্রথমেই ফাইল আপলোড না করে কীভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে বলি:
ফাইল আপলোড ছাড়া পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটা শেয়ার ক্যাশে নতুন। তাই অনেকেই জানেন না এখনো। সেটা হচ্ছে- শেয়ার ক্যাশ এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট (Exclusive Content). শেয়ার ক্যাশে লগিন করার পর ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনুতে এই অপশনটি পাবেন। এখানে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন সফটওয়ার, ইবুকস এবং গেম গাইডস। এগুলো হচ্ছে শেয়ার ক্যাশের প্রি-আপলোডেড ফাইল। সফটওয়্যার, গেম এবং ইবুকস মিলে প্রায় বিশ হাজার ফাইল আছে এখানে। যেগুলো আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য সফটওয়ার এবং প্রয়োজনীয় বই। যে কারও এগুলো কাজে লাগে। তাই এগুলোর কনভার্টস খুব ভালো।এই ফাইলগুলো আপনি আপনার একাউন্টে এড করে নিতে পারেন মাত্র একটা ক্লিক করে। এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট-এ ক্লিক করলে ফাইলগুলো দেখতে পাবেন। প্রথমে সফটওয়ার বা ইবুকস-এর নাম তারপর ফাইলের সাইজ এবং পরের অপশনটি হচ্ছে একশন। এখান থেকে ফাইল সিলেক্ট করার পর একেবারে ডান পাশের প্লাস (+) চিহ্নের উপর ক্লিক করলে নিমিষেই আপনার ফাইল ম্যানেজারে যুক্ত হবে ফাইলটি। তখন ঐ ফাইলটি হবে আপনার। এবং ঐ লিংক থেকে কেউ ডাউনলোড করলে আপনার লিড জেনারেট হবে এবং আপনি পেমেন্ট পাবেন।
তো বন্ধুরা, সুতরাং আশা করা যায় ফাইল আপলোডের ঝামেলা আপনাদের নিরসন হয়েছে। এখন ধুম মার্কেটিং শুরু করুন। প্রতিদিন ২০/৩০ ডলার ইনকাম করা আসলে খুব কঠিন কিছু না। বেস্ট অব লাক!
শেয়ার ক্যাশ + ফেসবুক = সহজ এবং বিগ ইনকাম !
আমাদের চোখের সামনেই অনেক ট্রিকস রয়েছে সহজ ইনকাম করার কিন্তু কারও নজরেই তেমন পড়ে না। চাইলেই সেসব ট্রিকসগুলো কাজে লাগিয়ে আপনার জীবনধারা পাল্টে ফেলতে পারেন সহজে। কীভাবে? চলুন জানা যাক-আমি কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম: ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে ইনকাম করবেন? লেখাটি পড়ে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন জানতে চেয়েছেন এটা কি আদৌ সত্যি কিনা? সত্যি কিনা সেটা কয়েকজন ইতোমধ্যে প্রমাণও করে ফেলেছেন। কারন তারা কাজ পাওয়া শুরু করেছেন।
একজন জানতে চেয়েছেন- তার একটা ফেসবুক ফ্যানপেজ আছে যেখানে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার লাইক/ফ্যান আছে। তিনি এটা কীভাবে কাজে লাগবেন? চলুন উনার প্রশ্নের উত্তরটা দিতে দিতে আপনাদেরকেও ট্রিকসটা শিখিয়ে দিই।
স্টেপগুলো দেখুন:
- আপনি এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট থেকে ৩০টা ফাইল আপনার ফাইল ম্যানেজারে এড করলেন। অর্থাৎ আপনার আছে ৩০টা ফাইলের লিংক।
- আর আগে থেকেই আপনার আছে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার ফ্যানের একটা ফেসবুক ফ্যান পেজ। কম-বেশি হতে পারে। হিসেবের সুবিধা এবং প্রশ্নের উত্তরের জন্য এই সংখ্যাটাই ধরা হলো।
- আপনি কাজ শুরু করলেন এভাবে: প্রতিদিন একটা লিংক এবং ঐ লিংকে কী ধরণের সফটওয়ার আছে এবং সফটওয়ারের বর্ণনা, কাজ, ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি ১০০-২০০ ওয়ার্ডে লিখে আপনার ঐ ফ্যান পেজে পোস্ট করুন।
- যদি ঐ গ্রুপের মাত্র এক ভাগ লোকও ঐ লিংকে ক্লিক করে এবং যদি ঐ এক ভাগের চার ভাগের এক ভাগও সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে তাহলে ফলাফল কী দাড়ায় সেটা হিসেব করি চলুন-
- ঐ ফ্যানপেজে ফ্যান আছে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার। এর এক ভাগ হচ্ছে চৌদ্দশ। চৌদ্দশতের চার ভাগের এক ভাগ হচ্ছে তিনশ পঞ্চাশ। অর্থাৎ আপনার সফটওয়ারটি একদিনে সর্বনিম্ন ডাউনলোড হলো তিনশ পঞ্চাশ বার। তাহলে ফলাফল কী হলো?
- আমরা জানি শেয়ার ক্যাশ প্রতি ডাউনলোডের জন্য এক ডলার থেকে বিশ ডলার দেয়। আমরা যদি সর্বনিম্নটাই হিসেব করি অর্থাৎ প্রতি ডাউনলোডের জন্য আমরা যদি এক ডলার হিসেব করি তাহলে দেখুন আপনি ঐ ফ্যান পেজ থেকে প্রতিদিন তিনশ পঞ্চাশ ডলার ইনকাম করতে পারছেন মিনিমাম।
0 comments:
Post a Comment