:user: vai
www.itsomadhan.blogspot.com

Translate

Monday, September 21, 2015

 12:25 PM         No comments

কখনো ভেবেছেন!! মোবাইল এর সংজ্ঞা কি?

হ্যা ভাই বর্তমানে বিজ্ঞান তথা প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের মতই আর্শীবাদের আরেকটি প্রযুক্তি হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমানে তো এমন কিছু মোবাইল আছে যে গুলো একবারে বলা চলে পিসির কার্বন কপি। কারন কম্পিউটারের যাবতীয় কি করা যাচ্ছে না আপনার মোবাইল ডিভাইস যন্ত্রটির মাধ্যমে। প্রায় প্রত্যেকের হাতে হাতেই তো মোবাইল! তো আপনি বলতে পারবেন মোবাইল কি? অনেকেই হয়ত বলবেন ভাই বলতে না পারলেও এতটুকু জানি যে, বর্তমানে কেউ খাচ্ছে কিংবা মাথায় দিচ্ছে!!
http://it-helpbd.blogspot.com
যাইহোক মোবাইলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সাধারন ভাবে বলা যায়, মোবাইল ফোন হলো এক প্রকার টেলিকম ইলেকট্রনিক যন্ত্র, কিংবা সেলুলার ফোন বলা হয়। এটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেডিও ওয়েভ বা স্যাটেলাইট বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়ে বেতার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সংযোগ তৈরি করে। মুলত কণ্ঠ যোগাযোগ, ছোট ছোট বাক্য সেবা (এসএমএস), মাল্টিমিডিয়া বার্তা সেবা (এমএমএস), ইন্টারনেট সেবাসমূহ যেমন ওয়েব ব্রাউজ এবং ই-মেইল অপারেট করাতে সক্ষম থাকে। উল্লেখ্য মোবাইল ফোনকে সেল্যুলার ফোনও বলা হয়ে থাকে। it trick and tips

 আভিধানিক অর্থ

ধারনা করা হয় ইংরেজী MOVE শব্দ হতে মোবাইল ফোন শব্দটি এছেসে। MOVE শব্দটি বাংলা অর্থ সরানো, নাড়ানো, চলমান ইত্যাদি। তাই চলমান অবস্থায় তারহীন যে ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মোবাইল ফোন বলে।তারপরেও বিস্তারিত জানতে আপনারা একটু উইকপিডিয়াতে ঢুঁ মারতে পারেন এখানে।

 মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে?

ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১  কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।
http://it-helpbd.blogspot.com it trick and tips
(ডঃ মার্টিন কুপার)
Cave Radio ধারণার উদ্ভব হয় সেই ১৯০৮ সালে, যেটাকে সেলুলার ফোনের জন্মসূত্র ধরা হয়। যদিও বাস্তবের মোবাইল ফোন এসেছে অনেক দেরিতে। দুই বছর পর ১৯১০ সালে Lars Magnus Ericsson তার গাড়িতে টেলিফোন লাগিয় ফেলেন, ভ্রাম্যমান ফোন হিসেবে এটার নামই প্রথম আসে। যদিও Ericsson-এর ফোনটা ঠিক Radio Phone ছিলোনা। ভদ্রলোক তাঁর গাড়ি নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াতেন এবং প্রয়োজন হলেই গাড়ি থামিয়ে ফোনের সাথে লম্বা দুইটা তার লাগিয়ে নিতেন, তারপর National Phone Network ব্যবহার করে ফোন করার কাজ সারতেন !!
সমসাময়িক ইউরোপের ট্রেনগুলোতে প্রথম শ্রেনীর যাত্রীরা Radio Telephone ব্যবহারের সুযোগ পেতেন। এই সুবিধা ছিলো বার্লিন থেকে হামবুর্গ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। একই সময় বিমানের যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে রেডিও টেলিফোন সুবিধা পেতেন। এ জাতীয় ফোনের ব্যাপক ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। জার্মানী মূলত ব্যাপক প্রচলন ঘটায়। সৈন্যরা যোগাযোগের জন্যে এটাকে ব্যবহার করত।
http://it-helpbd.blogspot.com
(প্রথম সেলুলার ফোন হাতে মার্টিন কুপার)
আমরা যে মোবাইল ফোন কে চিনি তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। আজকের বিখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানী মটরোলার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সেলুলার ফোন। নাম দেওয়া হয় DynaTAC 8000X। মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ফোনটাতে কোনো ডিসপ্লে ছিলোনা। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মটরোলার কর্মকর্তা Dr. Martin Cooper বেল ল্যাবস-এর কর্মকর্তা Dr. Joels Engel-এর সাথে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আর মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে যায় এই দুই বিজ্ঞানী, মটরোলা আর বেল ল্যাবস-এর নাম। অবশ্য Radio Telephone System-এর আবিস্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার আর তাঁর গুরু Motorola Portable Communication Products-এর চীফ John F. Michel নাম US Patent-এ (Patent no. 3,906,166) লিপিবদ্ধ হয় ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে।এটা বানিজ্যিক ভাবে মার্কেটে ছাড়া হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।আর ১৯৯০সালেই এর ব্যবহারকারীর সংখা ১২.৪ মিলিয়নে পৌছে যায়। কিন্তু ২০১৪/০৪/১৫ পর্যন্ত সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারির সংখা ১০ বিলিয়নে। it trick and tips
এটা হল আধুনিক মোবাইলের কথা।তবে বিশ্বে প্রথম ফোনটা করা হয়ে ছিল,আমেরিকায় ১৯৪৬ সালের ১৭ই জুন।এবং তা একটা গাড়ি থেকে করা হয়ে ছিল।যার ওজন ছিল ৮০ পাউন্ড।মানে প্রায় এক মণ।তখন খরচ ছিল প্রতি মাসে ফিস ২১০০টাকা (আজকের দিনে ২৪০০০ প্রায়) আর প্রতি মিনিটের বিল ছিল ২১-২৮ টাকা। আজকের দিনের(২৩৫-৩১৫টাকা প্রায়)। অবশ্য জেনারেশন ভিত্তিক মোবাইল ফোনের ইতিহাস বেশ কয়েকটা অংশে বিভক্ত আছে (যেমনঃ 1G, 2G, 2.5G, 2.75G, 3G, 4G)। বর্তমানে আমাদের দেশে ২ জির পর ৩ জি চালু হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ৪ জি তো চলছেই উপরন্তু ৫জি চালু করার প্রস্ততুতি চলছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে এয়ারটেল ইন্ডিয়া ৪ জি সেবা চালু করেছে।

মোবাইল ফোনের প্রকারভেদ

  • বেসিক মোবাইল ফোন।
  • মিউজিক মোবাইল ফোন।
  • ক্যামেরা মোবাইল ফোন।
  • ভিডিও মোবাইল ফোন।
  • স্মার্ট মোবাইল ফোন।

সংক্ষেপে আলোচনাঃ

ক। বেসিক ফোনঃ it trick and tips

নামেই বুঝতেই পারছেন বেসিক ফোন কি জিনিসরে ভাই! হ্যা এটি একটি সাধারন মানের ফোন। দেখতেও তেমন চৌকস নই। বাংগালী অর্থে বলবেন যে, গরীবিয়ানা ফোন। এই ফোন সেটের মাধ্যমে কথা বলা ব্যতিত অন্য কোন কাজ করা যায় না। মনে করে দেখুন প্রায় ১০ বছর পূর্বে আমাদের দেশের ৮০% ব্যবহারকারীই সাধারন মানের সেট ব্যবহার করত। তখন একটি সাধারন মানের সেট ক্রয় করতে গিয়ে আজকের দিনের একটি অ্যান্ড্রয়েড সেট ক্রয় করা হত। সাধরন সেটের মধ্য অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে  নোকিয়া ১১০০। বাংলাদেশে এর দাম ছিল প্রায় ৬৫০০/- মত। অবশ্য আমার জীবণের ১ম সেট হিসাবে এটি ব্যবহার করেছি। এবং স্মৃতি হিসাবে সেটটি এখনো সংরক্ষিত হিসাবে রেখেছি।
http://it-helpbd.blogspot.com

 খ। মিউজিক, ক্যামেরা ও ভিডিও মোবাইল ফোন

হ্যা পরবর্তী আপগ্রেডের সাথে সাধারন মোবাইল ফোন সেটের সাথে উক্ত বৈশিষ্ট্যবলী যোগ হতে শুরু করে। তখন এই ভাবে বাজারের সেট গুলোতে দেখা যায় যে, কোন সেটে ক্যামেরা সেট হয়েছে কিন্তু মিউজিক শোনার অপশন যোগ হয়নি। অপরদিকে মিউজিক.ভিডিও যোগ হয়েছে কিন্তু ক্যামেরা যোগ হয়নি। অর্থাত একটি বর্তমান থাকলে অন্যটি অনুপস্থিত থাকতে। তবে পরবর্তীতে এই সকল সুবিধাবলী মোবাইল সেটে সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে বাজারে আমরা প্রায় ৮০০৳-১৫০০৳ মধ্য সকল সুবিধা বিদ্যমান মোবাইল সেটগুলো পাচ্ছি। যেমন কিছুদিন পূর্বে আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামীন ফোন কাষ্টমার সেন্টার হইতে ১৪৫০৳ দ্বারা সিম্ফনী ডি ৫৪ আই মডেলের সেট নিই। সেখানে গান শোনা, রেডিও, ভিডিও, ক্যামেরা যুক্ত আছে। এমনকি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। তাহলে অনেকেই বলবেন এটা কি তাহলে স্মার্ট ফোনের বৈশিষ্ট্য! না ভাই! এটাকে স্মার্ট ফোন বলা যাবে না, তবে এর বাচ্ছা বলতে পারেন যা মাল্টিমিডিয়া ফোন হিসাবে পরিচিত।
http://it-helpbd.blogspot.com

 গ। স্মার্ট মোবাইল ফোন

হুম মাল্টিমিডিয়া ফোনের গুরু/আব্বা হলো স্মার্ট মোবাইল ফোন। মাল্টিমিডিয়া ফোনের সব সুবিধাই বিদ্যমান। কিন্তু এর সাথে আধুনিক কিছু সুযোগ সুবিধা যোগ আছে। যেমন: ওয়াই ফাই ব্যবহার, মডেম রাউটার হিসাবে ব্যবহার, ক্যামেরা অনেক উন্নত সর্বনিম্ন প্রায় ৩ মেগাপিক্সেল, টাচ স্কীন তাও আবার অনেক ক্ষেত্রে পিসির মতই এলইডি প্রকৃতির। তাছাড়া কাজের প্রয়োজনে অসংখ্যক অ্যাপস সুবিধা বিদ্যমান। এবং এই ফোন সেট গুলো ওয়েবক্যাম এমনকি ভিডিও রেকর্ডার হিসাওে কাজে লাগানো যায়। প্রকৃতভাবে স্মার্ট ফোন সেটগুলোর মূল্য অনেকক বেশী সর্বনিম্ন বাংলাদেশী টাকাতে ১৫০০০৳- ১,৫০০০০৳ পর্যন্ত। বিষেশত ব্রান্ডিং কোম্পানীর স্মার্ট ফোনসেট গুলো অনেক টেকশই ও বিশ্বস্ত।
http://it-helpbd.blogspot.com
স্মার্ট মোবাইল ফোনের মধ্য উল্লেখযোগ্য হল Samsung Galaxy, Black berry, Sony xperia, Lumia, Motorolla X-Gen, LG-G4 এবং বাংলাদেশের Walton Primo

মোবাইল ফোনের সুবিধা it trick and tips

  • সহজে পরিবহনযোগ্য।
  • যেকোন স্থান থেকে সংযোগ রক্ষা করা যায়।
  • USB পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
  • ভয়েজ মেইলের সুবিধা পাওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়।
  • অডিও, ভিডিও এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  • একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার করা যায়।
  • Bluetooth, WI-FI এর সুবিধা পাওয়া যায়।

 মোবাইল ফোন দ্বারা আপনি কি করতে পারবেন? এক নজরে চোখ বুলাই

মোবাইল এমন একটা আজব বাট প্রয়োজনীয় বস্তু যা বাংলাদেশের প্রায় সবাই চেনেন।এটা চেনেন না এমন একটা লোক ও মনে হয় আজকের দিনে খুজে পাওয়া যাবে না।
মোবাইল একটা ইলেট্রনিক্স যন্ত্র যা দুই প্রান্তের যোগাযোগে সাহায্য করে।এক পথে খবর বা ডাটা যায় আর অন্য পথে খবর বা ডাটা আসে।মানে আপনি যা বলবেন অন্য প্রান্ত থেকে তা শুনতে পারবে আবার অন্য প্রান্ত থেকে যা বলবে আপনিও তা শুনতে পারবেন।এটা এক ধরনের ফোন যাকে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে যেতে পারবেন।শুধু মাত্র নেটওয়ার্ক আর বিল থাকাটাই জরুরী।যাহেতু একে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে মুভ করতে পারবেন তাই এর নাম মুভ থেকে মোবাইল,আর জিনিসটা যাহাতু ফোন তাই নামটাও মোবাইল ফোন।

http://it-helpbd.blogspot.com
মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মোবাইল ফোনের ব্যবহার বিশ্বকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এর সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো দ্র্বত যোগাযোগ। মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে টেলিগ্রাফ বা টেলিফোনের সাহায্য নিতে হতো এবং তা ছিল ব্যয়বহুল ও অনেকটা ঝামেলাপূর্ণ। বর্তমানে মোবাইল ফোন কথা বলা ছাড়াও যেসব কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা হলোঃ

ডিজিটাল ক্যামেরা

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছবি তুলে সেটা সংরৰণ করে রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্য মোবাইলেও পাঠানো যায়। বর্তমান প্রযুক্তির থ্রি-জি এবং ফোর-জি মোবাইলগুলোতে যেসব ডিজিটাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা আছে তা দিয়ে অনায়াসে যে কোনো ধরনের ছবি তোলা সম্ভব।

অডিও রেকর্ডার

মোবাইল ফোনের যে কোনো অডিও রেকর্ডও সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিছু মোবাইল সরাসরি কথোপকথন রেকর্ড করতে সৰম।

ভিডিও রেকর্ডার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে আনলিমিটেড ভিডিও রেকর্ডিং থাকায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।
http://it-helpbd.blogspot.com

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিংয়ের (এমএমএস) মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ধারণকৃত অডিও বা ভিডিও অন্য মোবাইলে স্থানান্তর করা সম্ভব।

ই-মেইল ব্যবহার

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ই-মেইলের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে সহজে বার্তা আদান-প্রদান করা সম্ভব।

ইন্টারনেট ব্যবহার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা থাকছে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ এখন মোবাইলেই করা সম্ভব হচ্ছে

ভিডিও গেম সুবিধা

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনোদন এবং সময় কাটানোর উৎস হিসাবে ভিডিও গেমস্‌ এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
http://it-helpbd.blogspot.com

উপাত্ত পর্যবেক্ষণ

আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকেই এখন অফিসের সব তথ্য আদান-প্রদান এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

গান শোনা

মোবাইলে গান সংরৰণ সুবিধা থাকায় এমপি থ্রি ও এমপি ফোরের মাধ্যমে যে কোনো গান শোনা যায়। এতে সময়ও কাটে, মনও ভালো থাকে।

টিভি দেখা

নেক্সট জেনারেশন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানও সরাসরি দেখা যায়।

বারকোড রিডার

কয়েক প্রকার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এখন বিভিন্ন পণ্যের বারকোড পড়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করা যাচ্ছে।
http://it-helpbd.blogspot.com

 মোবাইল ফোনের অপব্যবহার

এত দীর্ঘ আলোচনার প্রেক্ষিতে জানতে পারলাম মোবাইল ফোনের নানাবিধ ব্যবহার তথা উপকারের দিকটা নিয়ে। উপকারের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে বোধ হয় অনেকের মনটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ! কিন্তু এতসব বাদ দিয়ে এবার মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতার বিষয়টি আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। এবার হয়ত আমার প্রতি অনেকেই ক্ষেপে উঠবেন, এবং বলবেন যে এই মিয়া অপকারিতা কোন বিষয় হল নাকি!! অপকারিতা যা হচ্ছে তা মুলত আমাদের মত ব্যবহারকারীর দ্বায়বদ্ধতার কারনেই হচ্ছে। হ্যা ভাই ঠিক কথা বলেছেন বিজ্ঞানের আর্শীবাদ স্বরুপ যে বিষয়ের এত উপকারিতা নিয়ে ঢাকঢোল তথাপি তার উপর আবার কাটার ঘাঁ! উদাহরন হিসাবে বলা যায় কমি্‌ুটার ব্যবহারের মত মোবাইল ব্যবহারেরও কিছু অপকারিতা তথা কুফল দিক রয়েছে। তাহলে বিষয়গুলো রিভিউ করি কেমন?

 এক নজরে ক্ষতিকর দিক সমূহঃ

১) বিজ্ঞানীদের মতে, একটি পরমানবিক চুল্লির যে বিপদ তার থেকে মোটেও কম নয় এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড এর ক্ষতি। যাদের করোটি যত পাতলা, তাদের মোবাইল এফেক্ট তত বেশি। ব্রেন টিউমার থেকে শুরু করে নার্ভাস সিস্টেম ব্রেকডাউন, হার্ট অ্যাটাক সব কিছুরই সম্ভবনা বেড়ে চলেছে।
২) মোবাইল ফোন ব্যবহার এর ফলে আমাদের মস্তিস্কের একটা অংশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মগজেও থাকে তার প্রতিক্রিয়া।
৩) ঝড়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমূহ বিপদ দেখা যেতে পারে।
৪) বুক পকেটে মোবাইল রাখলে হার্টের সমস্যা হবার সম্ভবনা বেশি থাকে।
৫) ইয়ার ফোন ব্যবহার না করে, কানের গোড়ায় রেখে মোবাইল এ বেশি কথা বললে কানে কম শোনা এমনকি বধিরতার আশঙ্কা পর্যন্ত থাকতে পারে।
৬) বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে মুখে ক্যানসার বা মেলিগনানট টিউমার এর ঝুঁকি বাড়ে।
http://it-helpbd.blogspot.com
৭) শিশুদের মস্তিস্কের কোষ নরম বলে তাদের মারত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিজ্ঞানী হাইল্যান্ড দেখিয়েছেন, তড়িৎ চুম্বকীয় দূষণের কারনেই শিশুরা এপিলেপসি ও অ্যাজমায় ভুগছে।
৮) লেফ সেলফড তথ্য-প্রমানের ভিত্তিতে সুদৃঢ় হয়ে যথেষ্ট জোরের সঙ্গে বলেছেন, সেলফোন এর প্রতিটা কল আমাদের মস্তিস্কের ক্ষতি করে। এমন কি প্যাসিভ স্মকারদের মত যে লোকটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না কিন্তু মোবাইল ব্যবহারকারির কাছে রয়েছে সেও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। ফ্রান্সে সান্তিনি আর সুইডেন এ সানডস্তরম আর মাইলড এর সমীক্ষার ফলাফল লেফ সেলফড এর বক্তব্য কে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এঁদের সমীক্ষা অনুযায়ী, সেলফোন ব্যবহারকারি, ২৫% পর্যন্ত বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন।। যেমন, মাথাঘোরা, ক্লান্তি, স্মৃতি শক্তি হ্রাস, মাথা ঝিম ঝিম করা, ক্লান্তি প্রভৃতি।
বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের বেশি ক্ষতি হয়। তাই বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দুরে রাখুন। কথা বলতে বলতে এক সময় ব্রেইন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে এদের ক্ষতির পরিমান বেশি থাকে।
http://it-helpbd.blogspot.com

 এক ডজন স্বাথ্য ঝুঁকি রয়েছে তথা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারন হিসাবে

মোবাইল ফোন যেমন বিভিন্ন দিক দিয়ে আমাদের উপকার করছে, একইভাবে স্বাস্থ্যগতভাবে আমাদের নানাদিক দিয়ে ঝুঁকির মুখোমুখি করছে। চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে স্রিষ্ট ১০ স্বাস্থ্যঝুঁকি।
ক। মানসিক চাপ
আমরা ফোন ব্যবহার করি যাতে সব সময় অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখা যায়। কিন্তু এটি একইসাথে আমাদের মানসিক প্রশান্তিও কেড়ে নেয়। কিভাবে? আমরা সব সময় আশা করতে থাকি এই বুঝি ফোনটি বেজে উঠবে কিংবা কেউ হয়তো মেসেজ দিবে।
সচেতনভাবে না হলেও আমাদের অবচেতন মন আমাদের সব মনোযোগ এই ক্ষুদ্র ফোনটির কাছে কেন্দ্রীভূত করে। এধরণের চিন্তার কারণে এক ধরণের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন এক ঘন্টার জন্য ফোনটি সুইচ অফ করে রাখুন। এটি আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিবে।
http://it-helpbd.blogspot.com
খ। অমনোযোগিতা
গবেষকরা দেখেছেন, বেশিরভাগ মানুষই প্রয়োজন না থাকলেও তাদের মোবাইলের মেনু স্ক্রিন, ই-মেইল বা এপ্লিকেশন চেক করার জন্য বার বার ফোন চেক করে। যদিও নতুন কোন ইমেইল, এস এম এস কিংবা নোটিফিকেশন আসার সম্ভাবনা হয়তো থাকে না বললেই চলে।
এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা সারাক্ষণ তাদের ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তারা যে কোন জরুরী পরিস্থিতিতে অন্যদের তুলনায় ২৩% দেরিতে সক্রিয় হন। যে কারণে বিশ্বের বহু দেশে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা আইনত নিষিদ্ধ। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, মোবাইল ফোন আমাদের কোন কাজের প্রতি একাগ্রতা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে যে কোন কাজ করতে আমাদের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে।
গ। মস্তিষ্কের ক্যান্সার
মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজষ্ক্রিয় রশ্মি আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলতে পারে। মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গ আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তরঙ্গকে কারসিনোজেনিক বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ঘ। হার্টের সমস্যা
গবেষণায় জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তা মানুষের হার্টের স্বাভাবিক কর্মকান্ডকে ব্যহত করে। এর ফলে রক্তের লোহিত রক্তকণিকাতে থাকা হিমোগ্লোবিন আলাদা হয়ে যেতে থাকে।
এছাড়া হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকার মাঝে তৈরি না হয়ে দেহের অন্যত্র তৈরি হতে থাকে, যেটি বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। যে কারণে বুক পকেটে ফোন রাখা একদমই অনুচিত। এছাড়া যারা হার্টে পেসমেকার বসিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন ব্যবহারে যথেষ্ঠ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ঙ।সাধারণ অসুস্থতা
আপনার মোবাইল ফোনের কারণেও কিন্তু আপনি অসুস্থ হতে পারেন! কিভাবে? আপনি সারাক্ষণই আপনার প্রিয় ফোনটি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এতে ধূলোবালি তো জমা হয়ই, সাথে থাকে অনেক রোগ-জীবাণুও। খাবার সময় হলে আপনি হয়তো খুব ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসলেন। খাবার খাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে আপনার ফোন বেজে উঠলো কিংবা একটা মেসেজ এলো, আপনি সেটার রিপ্লাই দিয়ে এসে খেতে বসে গেলেন।
আর এরই সাথে মোবাইল ফোন থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস খাবারের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করলো। আপনি হয়ত সাথে সাথে অসুস্থ হবেন না, কিন্তু পরবর্তীতে যেকোন অসুস্থতার জন্য এই বিষয়গুলোই দায়ী থাকবে।


চ। স্নায়বিক সমস্যা
মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তেজস্ক্রিয় রশ্মি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আমাদের ডি এন এ-কে। কোন কারণে মস্তিষ্কের কোষের ডি এন এ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা স্নায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক কাজের ক্ষতিসাধন করে।
মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কে মেলাটনিনের পরিমাণ হ্রাস করে, যার ফলে বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া এটি এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তড়িত-চৌম্বকীয় তরঙ্গের কারণে অনিদ্রা, আলঝেইমার ও পারকিনসন’স ডিজিজের মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
ছ। শুক্রাণুর গুনগত মান পরিমাণ হ্রাস
এখনকার সময়ে ছেলেদের প্রায় সবাই নিজেদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব পুরুষ বা ছেলে খুব বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের শুক্রাণু খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস পেতে থাকে। আমরা যখন ফোনে কথা বলার পর ফোন পকেটে রেখে দিই, তখন এটি কিছুটা উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে। এর ফলে অন্ডকোষের চারপাশে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
অথচ শুক্রাণু দেহের ভেতরে মাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সক্রিয় থাকে। তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রা শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর। আবার আমাদের শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে উপকারী তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরংগ বের হয়, কিন্তু মোবাইল ফোনের উচ্চ মাত্রার তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের দেহের তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গের নিঃসরণকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণু তৈরি হয়।

জ। শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া
যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা যেমন-কানে কম শোনার ঝুঁকি অনেক বেশি। বর্তমানে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর, তাদের মাঝে শ্রবণশক্তি হ্রাসের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের মতে, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যপক ব্যবহার এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। যারা দৈনিক ২-৩ ঘন্টার চেয়ে বেশি ফোনে ব্যস্ত থাকেন তারা ৩ থেকে ৫ বছরের মাথায় আংশিকভাবে বধির হয়ে যান। তাই এটি রোধ করতে আপনার ফোনের রিং-টোন যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখুন ও ফোনে খুব বেশি গান শোনা থেকে বিরত থাকুন।
ঝ। চোখের সমস্যা
যারা চোখের খুব কাছাকাছি দূরত্বে রেখে ফোন ব্যবহার করেন তারা ধীরে ধীরে মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা-এরকম নানা রকম সমস্যায় আক্রান্ত হন। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ফোনের বিভিন্ন লেখার ফন্ট সাইজ বাড়িয়ে দেয়া, চোখ থেকে ন্যুনতম ১৬ ইঞ্চি দূরত্বে ফোন ব্যবহার করা। আর যদি বেশ দীর্ঘ কোন লেখা ফোনে পড়তে হয়, তবে কিছুক্ষণ পর পর ২০ সেকেন্ডের জন্য চোখকে বিশ্রাম দিন।

ঞ। গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব নারীরা তাদের গর্ভাবস্থায় খুব বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যহত হয়। এছাড়া পরবর্তীতে এই শিশুদের মাঝে আচরণগত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় মায়েদের উচিত মোবাইল ফোন যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনকে একেবারে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি।

 মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের কোন সংযুক্ততা আছে কি?

প্রযুক্তির উৎকর্ষে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার জীবনযাত্রার মান যতটা বৃদ্ধি করেছে, ঠিক ততটাই অনাচার, মিথ্যাচার ও অপরাধের প্রসার ঘটিয়েছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি এর অপব্যবহার জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। যে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পদে পদে হোঁচট খায়, সেদেশে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশলে মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে মোবাইল ফোন। তারা রক্তচোষা ছারপোকার মতো মানুষের কষ্টার্জিত টাকা চুষে নিচ্ছে। তাদের কষ্টার্জিত উপার্জন মিলিয়ে যাচ্ছে নেটওয়ার্কের অদৃশ্য ফ্রিকোয়েন্সিতে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রচুর মুনাফা লুটছে বহুজাতিক অপারেটর কোম্পানিগুলো। ব্যবসায়িক স্বার্থে তাদের দেওয়া নানা প্যাকেজ সুবিধা নিতে গিয়ে এর অপব্যবহারের দিকটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে। কয়েকটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে বিশেষ ধরনের সিম কার্ড বাজারে ছাড়ে। পূর্বের অভিজ্ঞাতে দেখা গিয়েছে তাদের বিশেষ প্যাকেজে রাতভর স্বল্প মূল্যে কথা বলার সুযোগ নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যা পড়ালেখা ও ঘুম বাদ দিয়ে অনেক তরুণ-তরুণী রাতভর কথা বলতেন। আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম প্রায় ১০-১২ বছর পূর্বে তখন একটেল নামে একটি অপারেটর ছিল (বর্তমান মালিকানা পরিবর্তন করে রবি) তারা ৬০০/- টাকাতে জয় নামে ডাবল সীমের প্যাকেজ চালু করেছিল যেখানে একজন আরেকজনের সাথে সারারাত কথা বললেও ৫ টাকার বেশী খরচ হত না। তথাপি ফূর্তি নামে একটি প্যাকেজ ছিল যেখানে উল্লেখ ছিল “কল করলেও বোনাস, কল ধরলেও বোনাস” ফলে দেখা যেত কারনে-অকারনে ফোন কল এসেই যেত। তরুণে-তরুণীদের টার্গেট করে গ্রামীণ ফোনের একটি প্যাকেজ উঠেছিল ডিজুস নাম করে। সেই সময়ই শুনে ছিলাম ডিজুস এর প্যাকেজ কিনতে নাকি ১৮০০৳ ব্যয় হচ্ছে। ঐ ডিজুসের সুবিধা ছিল একই সারারাত প্রেমালাপ আর তার সাথে তো ছিল ২০০০ এসএমএস।
http://it-helpbd.blogspot.com
যাইহোক ঐ সময় পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, বুড়া-বুড়ীড়াই নাকি গ্রামীনের অন্য সব প্যাকেজ বাদ দিয়ে ডিজুজের প্রতি মায়ার টান ধরেছিল। আসলে বোধ হয় সেই সময় এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে, মোবাইলে কথা বলার জন্য বাংলাদেশী হিসাবে গিনেস বুকে নাম উঠাটাই বাকি ছিল। পরবর্তীতে সচেতন নাগরিক মহল, সংবাদ পত্র ও মিডিয়ার পৃষ্ঠকতায় সরকার সহ উদ্ধতন মহলে টনক নড়ে ফলে এক সময় ঐ অফরসমূহ মোবাইল অপারেটর গুলো বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

মোবাইল ফোন কোম্পানীর কোন বক্তব্য আছে কি?

আমার এই টিউন পড়ে কিংবা কোন ভূক্ত ভোগীর টিউমেন্টর প্রতিত্তরে হয়ত তারা বলবেন, ভাইরে শুধু কি অামাদের একার দোষ দিলে হবে? আমরা তো ব্যবসা করতে এসেছি এবং সরকারের সব চেয়ে বেশী ভ্যাট/ট্যাক্স প্রদান করি। সুতরাং ব্যবসা করতে গিয়ে এমন করাটাও তো স্বাভাবিক! তোমরাও যদি আমাদের মত কোম্পানী দিতে তাহলে বুঝতে ঠ্যালা!! ক্যান! আমরা কি কাউকে জোর-দবস্তি করছি যে, তোমাদের এই অফারটা কিনতেই হবে?? আরে ভাই সাবান কোম্পানীই তো অফার দিচ্ছে এটা কিনলে ওটা ফ্রি!! কিন্তু কেউ খবর রাখবেনা মাল-মিডিসিনের কোন ব্যাপার আঝে কিনা!! যাও অভিযোগ করতে হলে সরকারি মহলে গিয়ে করো ক্যামন!!

সময় এসেছে! মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রোধ করবার!!

১। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন দেদারসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের পড়াশোনার ওপর। ক্লাস চলাকালীন ইনকামিং-আউটগোয়িং কল, ফেসবুক-টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক বন্ধনের বন্ধুত্বে লিপ্ত হয়ে ক্লাসে অমনোযোগী হওয়া, রাতভর কম রেটে কথা বলার সুযোগ পেয়ে বাবা-মার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করা, প্যাকেজ রেটে দিনরাত আনলিমিটেড ডাউনলোড করাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে ছাত্র সমাজ।
http://it-helpbd.blogspot.com
২। ছাত্রছাত্রীরা আজকাল মেমরিকার্ড সমৃদ্ধ মোবাইল ফোনে বইয়ের স্টিল পিকচার নিয়ে আসছে পরীক্ষার হলে। সময় দেখার নাম করে মোবাইল ফোনের ইমেজ ভিউয়ার জুম করে দেখে নিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বা চিত্রগুলো। এক কথায় নকল করার আধুনিক মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে মোবাইল ফোনকে। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে ফেসবুকের ওয়ালে সার্কুলেশন করছে। ছোট স্পিকার কানে লাগিয়ে ওয়্যারলেস কানেকশনে উত্তর জেনে নিচ্ছে বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে। নকল করার অপরাধ থেকে বাঙালি যখন পরিত্রাণের উপায় খুঁজছে, ঠিক তখন মোবাইল ফোনের ওপর ভর করে নকল প্রবণতার বিকাশ ঘটছে মহামারী আকারে।
৩। বাসায় কম্পিউটার না থাকা, কম্পিউটার পরিবহনে অক্ষমতা অথবা কম্পিউটারে মডেম সংযোগ ইত্যাদি জটিলতার কারণে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নেটিজেন হচ্ছে দেশের কিশোর ও যুবসমাজ। তারা মুহূর্তেই ডাউনলোড করে নিচ্ছে আজেবাজে ডকুমেন্টস আর ব্লু-টুথ ডিভাইসে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধু-বান্ধবীদের মোবাইল ফোনে। ফেসবুক, টুইটার, ম্যাসেনজার ইত্যাদি সামাজিক বন্ধুত্বের সাইটে অডিও কনফারেন্স বা চ্যাট করে অলস সময় নষ্ট করছে।
৪। সেবা দেয়ার নাম করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বাঙালিদের বুকে টেনে নিলেও তাদের নজর থাকে অর্থ উপার্জনের দিকে। দেশের অর্থ পাড়ি জমায় উন্নত কোন রাষ্ট্র, নয়তো বিদেশী কোন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। মোবাইল ফোন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও শিক্ষার্থীরা এর অপব্যবহারে মগ্ন হয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। সমাজ থেকে তারা বিছিন্ন হয়ে পড়ছে। তারা যেন আটকে যাচ্ছে ২-৩ ইঞ্চির ছোট্ট একটা মনিটরে। বিধ্বংসী এ স্রোত থামাতে না পারলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
৫। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিন দিন বেড়েছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনাও। দেখা যাচ্ছে বেনামি সেট কিংবা মোবাইল সীম কার্ড ব্যবহার করে অহরহ ক্রাইম করছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, মাঝেমধ্য গোয়েন্দা সংস্থাকে রহস্যর জট উদঘাটন করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে সরকারের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় একটি শুভ উদ্যোগ গ্রহন করেছে তাহলো এই বছরের ডিসেম্বর মাস হইতে যারা নতুন সংযোগ নিবেন তাদের সীম কার্ড রেজি: সহ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ প্রদান করতে হবে। নি:সন্দেহ একটি ভাল উদ্যোগ এবং আমি সহ যাবতীয় প্রযুক্তিপ্রেমী স্বাগত জানাই। কারন কিছুটা হলেও এর মাধ্যমে মোবাইল ক্রাইম রোধ করা যাবে।http://it-helpbd.blogspot.com

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts

Pomot Your Website & Facebook Fun Page Contact me +8801914656495

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকুন

আপনে কি সিসি টিভি লাগার কথা ভাবতিছেন??বিস্তারিত জানতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন!

SCIENTIFIC CALCULATOR

powered by calculator.net

Only call Argent +8801914656495

Powered by Blogger.

Ad heare

cc

Featured Posts

Our facebook Page